নতুন কর ব্যবস্থায় দেশের করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া

নতুন কর ব্যবস্থার প্রতি করদাতাদের উৎসাহ

এই মূল্যায়ন বছরে ভারতের বেশিরভাগ ব্যক্তিগত আয়করদাতারা সহজ নতুন কর ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকেছেন। ৩১ জুলাই সময়সীমার মধ্যে যারা রিটার্ন জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে ৭২% নতুন কর ব্যবস্থাটি বেছে নিয়েছেন। আয়কর (I-T) রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৭.৫% বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭.২৯ কোটি হয়েছে।

করদাতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি

কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (CBDT) জানিয়েছে, “২০২৪-২৫ মূল্যায়ন বছরের জন্য মোট ৭.২৮ কোটি ITR-এর মধ্যে, ৫.২৭ কোটি নতুন কর ব্যবস্থায় দাখিল হয়েছে, যা পুরানো কর ব্যবস্থার ২.০১ কোটির তুলনায় অনেক বেশি।” নতুন কর ব্যবস্থায় করদাতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে পর্ষদ ‘উৎসাহজনক’ বলে অভিহিত করেছে।

নতুন কর ব্যবস্থার আকর্ষণ

২০২৩-২৪ বাজেটে নতুন কর ব্যবস্থার আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলি করা হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন করের স্ল্যাব সংখ্যা ছয় থেকে পাঁচে কমিয়ে দিয়েছেন এবং করমুক্ত আয়ের সীমা ২.৫ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ করেছেন। নতুন কর ব্যবস্থাকে ডিফল্ট কর ব্যবস্থা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

কর ছাড় ও নতুন সুবিধা

গত বছরের বাজেটে নতুন কর ব্যবস্থায় কর ছাড়ের সীমা ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ করা হয়েছে, যেখানে পুরানো ব্যবস্থায় এটি ৫ লক্ষই ছিল। ২০২৪-২৫ বাজেটে নতুন ব্যবস্থায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০,০০০ থেকে ৭৫,০০০ করা হয়েছে এবং করের স্ল্যাবগুলি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, যা করদাতাদের পুরানো ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আরও উত্সাহিত করেছে।

নতুন করদাতাদের সংখ্যা

৫৮.৬ লক্ষ নতুন করদাতা প্রথমবারের মতো রিটার্ন দাখিল করেছেন, যা করদাতা বেসের বিস্তার নির্দেশ করে। গত বছর ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৬.৭৭ কোটি রিটার্ন দাখিল হয়েছিল, যেখানে মোট দাখিল সংখ্যা ছিল ৮.৬১ কোটি।

পোর্টালের সক্ষমতা বৃদ্ধি

কর পরামর্শদাতাদের উদ্বেগের জবাবে, CBDT চেয়ারপার্সন রবি আগরওয়াল জানিয়েছেন, “ই-ফাইলিং পোর্টালের প্রসেসিং ক্ষমতা বাড়িয়ে সমস্যাগুলি সমাধান করা হয়েছে।” শেষ কয়েকদিনের ফাইলিং ডেটা থেকে বোঝা যায় যে এই পদক্ষেপ সফল হয়েছে। ২৪ জুলাই প্রায় ২৮ লক্ষ ফাইলিং থেকে, ৩১ জুলাই প্রায় ৭০ লক্ষ ফাইলিংয়ে পৌঁছেছে।

ই-ফাইলিং পোর্টালের পারফরম্যান্স

৩১ জুলাই এক দিনে ৬৯.৯২ লক্ষ ITR দাখিল হয়েছে এবং প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫.০৭ লক্ষ রেকর্ড করা হয়েছে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত। সর্বোচ্চ প্রতি সেকেন্ড ফাইলিং হার ছিল ৯১৭, যা ১৭ জুলাই সকালে অর্জিত হয়েছিল, এবং সর্বোচ্চ প্রতি মিনিট ফাইলিং হার ছিল ৯,৩৬৭, যা ৩১ জুলাই সন্ধ্যা ৮:০৮ টায় রেকর্ড করা হয়েছে।

সুষ্ঠু ফাইলিং অভিজ্ঞতা

৩১ জুলাই ২০২৪ এক দিনে সফল লগইন সংখ্যা ছিল ৩.২ কোটি। পোর্টালটি বিরাট ট্র্যাফিক সফলভাবে পরিচালনা করেছে, করদাতাদের জন্য সুষ্ঠু ফাইলিং অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে।

উপসংহার

নতুন কর ব্যবস্থা দেশের করদাতাদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। সঠিক সময়ে এবং সঠিক পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করা করদাতাদের জন্য অনেক উপকারী। নতুন ব্যবস্থায় করদাতাদের সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং এটি করদাতাদের জন্য একটি সহজ পদ্ধতি প্রদান করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *